ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়ার মধ্যে মিল হল
ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়া হয় ‘স্ত্রী অ্যানোফিলিস’ মশার কামড়ে। মশা সাধারণত নোংরা, জমা, অপরিষ্কার জলে ও তার আশেপাশে থাকে।
এখন, রোগ চিহ্নিত করা খুব কঠিন কাজ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, ম্যালেরিয়ার সংক্রমণ মশা কামড়ানোর 8-25 দিন পরে হয়। সেই কারণে গোড়ার দিকে ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় কোন সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না।
প্রচন্ড জ্বর হল সবচেয়ে প্রচলিত লক্ষণ, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়। শরীরের তাপমাত্রা 104’F এর বেশি হতে পারে। এটা প্রায়ই ঠান্ডা লাগতে লাগতে হতে পারে যার ফলে পেশীতে প্রদাহ দেখা যায় তারপর তাপমাত্রা বাড়ে।
ম্যালেরিয়া রোগীদের মধ্যে দম বন্ধ হয়ে আসা, ঘাম হওয়া বা কাঁপুনি, ঝিমুনি, জন্ডিস, শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।
এইসব উপসর্গ ধরা পড়ার পর যত দ্রুত সম্ভব আপনার রোগ নির্ণয় করতে হবে।
সাধারণত ম্যালেরিয়ার কোন নির্দিষ্ট উপসর্গ হয় না, এটা নির্ণয় করা কষ্টকর হতে পারে।
চিকুনগুনিয়ার
মারাত্মক জটিলতা চিকুনগুনিয়ার ক্ষেত্রে খুব কম দেখা যায়। রক্ত ও মূত্রের সহজ পরীক্ষা এই রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। চিকুনগুনিয়াতে শ্বেত রক্তকণিকা বা লিউকোসাইটের সংখ্যা কম থাকে। কিডনি লেপ্টোপাইরোসিসের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এইসব ক্ষেত্রে মূত্রের পরীক্ষায় অস্বাভাবিক দেখা যায়।
নিম্নলিখিত উপসর্গ দেখা দিয়েছে এমন যেকোন রোগী নিজেই নির্দেশিত মেডিক্যাল ও ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করতে পারবে:
হাইপোটেনশন (রক্তচাপ কমা)
রক্তপাত
প্রচন্ড জ্বর
শ্বাসকষ্ট
পরিবর্তিত সেন্সরিয়াম
মূত্রত্যাগ কমে যাওয়া
জন্ডিস
খিঁচুনি
তাই, মিল খোঁজা
উভয় রোগই একই ধরনের মশা বাহিত
সাধারণত উভয় রোগেই শ্বাসকষ্ট এবং প্রচন্ড মাথাব্যাথা হয়।
উভয় ভাইরাসের কারণে প্রতি 2-3 দিন অন্তর প্রচন্ড জ্বর হয়।
উভয় রোগ নির্ণয় একই ল্যাব পরীক্ষার মাধ্যমে করা হয়।
ঠান্ডা লাগা, কাঁপুনি এবং কম রক্তচাপ উভয় রোগের ক্ষেত্রেই দেখা যায়।
আপনার বাড়ি পোকামাকড়ের মুক্ত রাখার পরামর্শ ও কৌশল!