ডেঙ্গি এবং চিকুনগুনিয়ার মধ্যে মিল
বর্ষা এসে মানুষকে শুধু জুলাইয়ের প্রখর রোদ্র থেকে আরাম দেয় তাই নয়, সঙ্গে নিয়ে আসে একাধিক রোগ।
আগে, চিকুনগুনিয়াকে ডেঙ্গি বলা হত। তাঞ্জানিয়ার কাছাকাছি ম্যাকোন্ডে মালভূমিতে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে তখন এটাকে প্রথম পৃথক রোগ বলে চিহ্নিত করা হয়।
ডেঙ্গি জ্বর হল মশা বাহিত রোগ। একাধিক এডিস মশার প্রজাতির মাধ্যমে এই রোগ ছড়ায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ডেঙ্গু উদ্বেগের একটি বিশ্বব্যাপী কারণ পরিণত হয়ে উঠেছে।
একইভাবে, চিকুনগুনিয়া হল চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের কারণে হওয়া সংক্রমণ। এই ভাইরাস এডিস মশার দুই প্রজাতির মাধ্যমে বাহিত হয়। 1953 সালে আরডব্লিউ রস প্রথম চিকুনগুনিয়া ভাইরাসকে আলাদা করেছিলেন। ভারতে, বিশেষ করে উত্তর ভারতে, চিকুনগুনিয়া কখনই ডেঙ্গির থেকে একটি বড় উদ্বেগের কারণ ছিল না। তবে, 2016 সালে, চিকুনগুনিয়া বেড়ে যাওয়ার কিছু ঘটনা দেখা যায়।
উপসর্গ, ভেক্টর, জীবানুবাহকতা, তাদের ডিম ফোটার সময়সীমা, ভৌগলিক পরিবেশের দিক থেকে গ্রীষ্মমন্ডলীয় জ্বর ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়ার মধ্যে মিল আছে।
উদাহরণস্বরূপ, উভয়ই মশা বাহিত ভাইরাল জনিত রোগ, যেখানে জীবাণুবাহক হল এডিস মশার প্রজাতি।
উভয় ভাইরাল ইনফেকশনের ক্ষেত্রে একই ধরনের উপসর্গ দেখা যায় যেমন প্রচন্ড জ্বর, মাথা ব্যাথা, গেঁটে ও চোখে ব্যাথা, ফুসকুড়ি এবং ক্লান্তিভাব। এই কারণে ভাইরাল জ্বর এবং ম্যালেরিয়ার মধ্যে বিভ্রান্তের সৃষ্টি হয়।
এইসব ভয়ঙ্কর রোগ এড়ানোর মূল উপায় হল প্রতিরোধ। এবং এইখানেই কালা হিট আপনাকে সহায়তা করবে। বাড়ি থেকে রোগ বহনকারী মশাগুলি দূরে রাখতে প্রতিদিন কালা হিট স্প্রে করুন।
আপনার বাড়ি পোকামাকড়ের মুক্ত রাখার পরামর্শ ও কৌশল!