চিকুনগুনিয়ার কারণ ও উপসর্গ
ভাইরাল ইনফেকশন থেকে হয়, বর্ষায় যে সমস্ত রোগ হয় তার মধ্যে একটা হল চিকুনগুনিয়া। চিকুনগুনিয়া ভাইরাস বহনকারী মশা মানুষদেরে কামড়ালে তাদের চিকুনগুনিয়া হয়। এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিক্টস হল সেই মশা যারা ভাইরাস বহন করে।
এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার একটি মশা বাহিত রোগ হল চিকুনগুনিয়া এবং এটা আস্তে আস্তে ভয়ঙ্কর হচ্ছে। যদি উপরে উল্লেখ করা প্রজাতির স্ত্রী মশা কামড়ায় তাহলে চিকুনগুনিয়া ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষে ছড়াবে। কামড়ানোর 4 থেকে 6 দিন আগে এই রোগের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। এইসব মশা সাধারণত সকালে ও বিকাল বেলায় কামড়ায় এবং ঘরের ভিতরের বদলে বাইরে কামড়ানোর জন্য পরিচিত। তবে, বাড়ির ভিতরেও বংশ বৃদ্ধি করতে পারে।
এই রোগের প্রচলিত উপসর্গগুলি দেখে নেওয়া যাক:
হু এর মতানুসারে এই রোগের প্রধান উপসর্গ হল –
1. হঠাত জ্বর
2. গেঁটে ব্যাথা
3. পেশীতে ব্যাথা
4. মাথা ব্যাথা
5. বমি বমি ভাব
6. ক্লান্তি
7. ফুসকুড়ি
এইসব উপসর্গ খুব প্রচলিত এবং অন্যান্য কারণে দেখা দিলেও যদি তা দীর্ঘদিন ধরে দেখা দেয় তাহলে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। চিকিৎসা না করালে চোখের পাশাপাশি স্নায়বিক ও কার্ডিয়াক জটিলতা সহ খুব ক্ষতি হতে পারে। বয়স্ক রোগীদের হলে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন নাহলে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
আপনার বাড়ি পোকামাকড়ের মুক্ত রাখার পরামর্শ ও কৌশল!